সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

প্রিয় বন্ধুরা পোষ্টের টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন আজকে আমরা কথা বলব সিঙ্গাপুর স্কেল ও আনস্কেল বিষয় নিয়ে এবং সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে। সিঙ্গাপুর কিভাবে যেতে হবে এবং কোন ভাবে গেলে আপনার জন্য ভালো হবে এই নিয়ে বিস্তারিত আজকের পোস্টে দেওয়া আছে।

প্রিয় বন্ধুরা যখন এশিয়ার কোন দেশে বিদেশ যাওয়ার কথা হয় তখন সর্বপ্রথম মাথায় আসে সিঙ্গাপুরের কথা কারণ অন্যান্য দেশের চাইতে সিঙ্গাপুর অনেকটাই উন্নত এবং বেতন বেশি। তবে, সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে তার মধ্যে দুটি উপায় হল সেরা একটি হল স্কেল করার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যাওয়া এবং আরেকটি হল আনস্কেলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যাওয়া।

এই পোস্টে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব স্কেল করে সিঙ্গাপুর যাওয়া ভালো? নাকি আনস্কেলে যেয়ে স্কেল করে ফিরে এসে পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাওয়া ভালো?

সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্কেল করে যেতে প্রায় ১০ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়ে যাবে। স্কেল করে সিঙ্গাপুর যেতে ১০ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কারণ হলো পরীক্ষার জন্য কোটা পাওয়া যায় না এবং যে কয়েকটা কোটা পাওয়া যায় সেই কোটার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থী কে বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।

অনেকেই বলে থাকে জানুয়ারির দিকে কোটা না থাকায় এরকমটা হয়। স্টুডেন্ট বেশি থাকা সত্ত্বেও কোটা না থাকায় পরীক্ষা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং অনেক শিক্ষার্থী বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী হয়ে যায়।

বর্তমানে আগের মতো ইসকিল করার জন্য কোটা পাওয়া যায় না। অনেকেই বলে থাকে যে বাংলাদেশে নাকি সিঙ্গাপুর স্কেল করানো বাদ দিয়ে দিয়েছে তাদের জন্য বলতে চাই, এখনো সিঙ্গাপুর স্কেল বাংলাদেশে বাতিল করা হয়নি।

নতুন তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে ডেলিকেটেড এসে পরীক্ষা নেবে। করোনার পর থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পরীক্ষা নিলেও বর্তমানে এখন বাংলাদেশের ডেলিকেটেড আসার মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সিঙ্গাপুর আনস্কেলে যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে আমি স্কুলের সিঙ্গাপুর যেতে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হয়। তবে এজেন্সি ভেদাভেদে এই টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর স্কেল পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে অনেকেই সিঙ্গাপুর আনস্কেলে যেয়ে স্কেল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

এই পদ্ধতি অনেক ভালো হলেও এই পদ্ধতিতে অনেক জটিলতা রয়েছে তবে এখানে একটি সুবিধা রয়েছে সেটি হলো আপনি স্কীল করার পর দেশে এসে এক মাসের মধ্যেও আবার ভিসা করে অন্য কোম্পানিতে যেতে পারবেন।

তো আমাদের পরামর্শ হলো আপনি যদি ইংলিশ এবং বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন যেমন ইলেকট্রনিক, ওয়েল্ডিং, টাইলস লাগানোর কাজ এগুলো নিয়ে স্কেল করতে পারেন সিঙ্গাপুর যেয়ে।

বর্তমানে ঢাকা অনেকগুলো সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে তবে সব ট্রেনিং সেন্টার ভালো নয় অনেক ট্রেনিং সেন্টার আছে ট্রেনিং করার নাম করে টাকা নিয়ে নেয় এবং পরবর্তীতে পাসপোর্ট আটকে দেয়।

তাই আপনাদের কাছে বলব ভালো একটি এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন এবং পরিচিত কারো মাধ্যম থাকলে তাহলে সেখান থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

বর্তমানে আরেকটি নতুন করে ইস্যু হয়েছে সেটি হল নাম নিয়ে অনেক জটিলতা রয়েছে এক নামে যেমন সিঙ্গাপুর আইপি হয় না আবার অনেকের দুই নামেও সিঙ্গাপুরে আইপি হয় না।

তাই আপনি যদি আনস্কেল বা স্কেল করার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে অবশ্যই পাসপোর্টে নাম এজেন্সিকে বলে নিবেন তারা নিতে পারবে কিনা।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আগে টাকা দেওয়া প্রয়োজন কিনা? যেসব ভাইয়েরা এরকম প্রশ্ন করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো ভিসা পাওয়ার আগে কখনোই টাকা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। স্কীল করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আগে কিছু টাকা দিয়ে নিতে হবে আর না হলে পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

বিভিন্ন গ্রুপ এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে দেখা যায় তারা বলে কোন ট্রেনিং সেন্টারটি ভালো হবে? তাদের জন্য বলছি যারা এরকম প্রশ্ন করে থাকেন আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটি কথাই বলতে চাই যে আপনি যেখানে সেখানে এরকম কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকেন কারণ বাংলাদেশ এরকম দালালের অভাব নেই যারা আপনার টাকা মেরে দেবে।

তাই পরিচিত কারো মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং স্কেলে ভর্তি হলে আপনার পরিচিত কেউ গিয়েছে তার মাধ্যমে যে ট্রেনিং সেন্টার এসে কাজ শিখেছে সেখানে ভর্তি হতে পারলে ভালো হয় কারণ রেফারেন্স থাকলে অনেকটাই সুবিধা থাকে।

আপনাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই যারা বলেন যে সিঙ্গাপুর স্কেলে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের জন্য বলছি এরকম কিছুই হয়নি তবে এখন কোটা কম হওয়ার কারণে পরীক্ষা কম হচ্ছে।

কোটা কম থাকার কারণে পরীক্ষার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যেখানে ইন্ডিয়া থেকে দেড় লাখ টাকা সিঙ্গাপুর স্কুল করানো হয় সেখানে বাংলাদেশে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা স্কেলের জন্য নেওয়া হচ্ছে এবং সময় বেঁধে তার চেয়েও বেশি নেওয়া হয়।

তো আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলতে চাই সেটা হল আপনি যদি আনস্কেলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে আপনি সেখানে দুই বছর অবস্থান করতে পারবেন এবং এর মধ্যে স্কিল না করতে পারলে আপনাকে দেশে চলে আসতে হবে।

আর আপনি যদি আনস্কেলের যেয়ে স্কেল করে ফেলেন তাহলে আবার দেশে এসে নতুন করে আবার নতুন কোম্পানিতে এপ্লাই করে যেতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর স্কেল ট্রেনিং সেন্টার

বর্তমানে ঢাকা আশুলিয়ার মধ্য অনেকগুলো সিঙ্গাপুর স্কেল ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে এখানে সাব সেন্টার থেকে মেন সেন্টার সবকিছুই রয়েছে তবে বাংলাদেশে ছয়টি মেইন সেন্টার অনুমোদিত হয়েছে।

আর বাকি সবগুলো ট্রেনিং সেন্টার হল সাব সেন্টার। আপনি যদি সিঙ্গাপুর স্কুল করতে চান তাহলে ফোনটা ডেলকো ও স্টিল দেখতে পারেন তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো সাউথ পয়েন্টে অনেকটাই জালিয়াতি হয় তারা পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার মতো রেকর্ড রয়েছে।

তাই আপনাদেরকে বলব স্কেলে যদি ভর্তি হতে চান তাহলে অবশ্যই ট্রেনিং সেন্টার দেখে এবং তাদের কাজ ও লোকের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ভর্তি হবেন।

আমাদের শেষকথা: সিঙ্গাপুর যাওয়া এবং ভিসা নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন আমরা যথাসময়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেব।

8 thoughts on “সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে”

  1. আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আছেন,
    স্যার, আমি যদি বাংলাদেশ থেকে ইস্কেল করে, ওই স্কেল বই বা সার্টিফিকেট নিয়ে সিঙ্গাপুর যাই,সিঙ্গাপুর থেকে যদি আমার কোন পার্সোনাল মানুষ,কোন কোম্পানিতে ভিসা বের করতে পারে।
    তাহলে আমার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়া কতটুক পজেটিভ।
    আশা করি স্যার উত্তরটি দিবেন।
    আসসালামু আলাইকুম

    Reply
  2. আমি আনস্কেলে যেতে চাই ভালো একটা এজেন্টের নাম্বার দিন

    Reply
    • জি বর্তমান সময়ে আপনি সিঙ্গাপুর যে কোম্পানির অধীনে থেকে স্কিল করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোম্পানিতে যাবেন দালাল বা এজেন্ট এর সাথে মিটিয়ে কথা বলে যাবেন তাহলে সেখান থেকে আপনি স্কিল করতে পারবেন।

      Reply

Leave a Comment